মদ্ধ-প্রাচ্যে শিক্ষক হিসেবেও চাকুরির সুযোগ।

কেবল লেবার হিসেবে নয়, মদ্ধ-প্রাচ্যে শিক্ষক হিসেবেও চাকুরির সুযোগ।

শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। সমাজ সংস্কারেও প্রতিটি দেশে শিক্ষকেরাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাই ছেলেবেলা থেকে অনেকেই শিক্ষকতার পেশা গ্রহণ করার স্বপ্ন মনের মধ্যে লালন করে থাকেন। নিজের সৃজনশীলতার প্রকাশ ও সৎ জীবনযাপনের জন্য এ পেশার জুড়ি নেই। বাংলাদেশের অনেক মেধাবী তরুণ-তরুণী প্রতিবছর শিক্ষকতার চাকরি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমাচ্ছে। আর সৌদি আরব হলো মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম একটি দেশ, যেখানে প্রতিবছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুল পরিমাণে শিক্ষক আসেন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি নিয়ে। তবে গর্বের বিষয় হলো, সৌদি আরবের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষকতা করছেন। বলাবাহুল্য, সৌদি আরবে এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেখানে কোনো বাংলাদেশি শিক্ষক নেই। উন্নত কর্মপরিবেশ, চাকরির নিরাপত্তা, উচ্চ বেতন কাঠামো সর্বোপরি আমাদের প্রিয় মহানবীর দেশ হিসেবে সৌদি আরব অনেকেরই পছন্দ।

এখানকার শিক্ষার মাধ্যম আরবি ও ইংরেজি উভয়ই। সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সৌদি আরবের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে শত শত বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সৌদি আরবের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে প্রায় সারা বছরই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ করে থাকে। তবে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া সাধারণত জুন-জুলাই মাস থেকে শুরু হয়।

সৌদি আরবে কর্মরত শিক্ষক-শি‌িক্ষকাদের আর্থিক সুবিধা তুলনামূলকভাবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ থেকে ভালো। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রারম্ভিক মূল বেতন প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার সৌদি রিয়াল হয়ে থাকে ৷ যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় দুই লাখ পঞ্চাশ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা হয়ে থাকে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষকদের বেতন প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার রিয়াল হয়ে থাকে। এ ছাড়াও শিক্ষকদের জন্য রয়েছে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব আবাসনব্যবস্থা, সার্ভিস বেনিফিট, প্রথম শ্রেণির স্বাস্থ্য বিমা (পরিবারের সদস্যসহ) ও বেতনসহ বছরে তিন মাস ছুটি। এমনকি বার্ষিক ছুটির সময় পরিবারের সদস্যসহ শিক্ষকদের বিমানের টিকিটও দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে সাধারণত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি চাওয়া হয়। তবে ইংরেজিতে পারদর্শীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে সাধারণত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি চাওয়া হয়। তবে এমফিল অথবা পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। কিন্তু যেকোনো পর্যায়ে ইংরেজি বিষয়ের জন্য শুধু যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কানাডা, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও দ‌ক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়া অন্য কোনো দেশ থেকে শিক্ষক নিয়োগ করা হয় না। কখনো কখনো শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি চাকরির অভিজ্ঞতাকেও এখানে প্রাধান্য দেয়া হয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রায় সারা বছরই নিয়োগ বিজ্ঞাপন দেয়া থাকে। আবেদনপত্র ও সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সৌদি দূতাবাস থেকে সত্যায়িত করে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠাতে হয়। তবে কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব অনলাইন ডেটা বেইজ রয়েছে। অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করলে তা ডেটা বেইজে জমা থাকে এবং যেকোনো সময় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

সৌদি আরবের পাঁচটি প্রদেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের ঠিকানা:

(১) King Saud University , Riyadh ksu. edu. Sa

(২) King Abdullah University of Science and Technology

(৩) King Abdulaziz University ,

(৪) King Fahd University for Petroleum and Minerals , Dammam

(৫) Islamic University of Medina , Medina iu. edu. sa

কোনো প্রার্থী প্রাথমিকভাবে বাছাই হলে স্কাইপির মাধ্যমে সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে ফ্যামিলি ভিসা পাঠানো হয় সৌদি দূতাবাসে। যাঁদের পরিবার থাকে, তাঁদের ফ্যামিলি ভিসা পাঠানো হয়। ইদানীং কিছুটা মুদ্রাস্ফীতি পরিলক্ষিত হলেও সৌদি আরবে জীবনযাত্রার ব্যয় কম।

= = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = =

ফ্রি অ্যাসেসমেন্ট বা আরও বিস্তারিত জানতে, সঠিক পরামর্শ অথবা সহযোগিতা পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

সতর্কতাঃ
———–
প্রদত্ত সকল তথ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা দেশের বর্তমান ও প্রচলিত আইন বা নিয়ম অনুযায়ী। সংশ্লিষ্ট বিভাগ, সংস্থা বা সরকার তা যে কোন সময় পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন এবং বাতিল করতে করতে পারে।

© All Rights Reserved BICAVS 2012-2020

Share On

BICAVS

DISCLAIMER

Due to the periodic changes of information/requirement/document, BICAVS doesn’t provide any confirmation, guarantee or representation, express or implied, that the information contained or referenced herein is completely accurate or final. BICAVS also doesn’t assure the grant of visa for its ‘Visa logistics support’. Visa grant is the distinct decision of embassy or consulate of the respective countries.

RECENT POSTS

POPULAR POSTS

error: Content is protected !!